রক্তদানে অতি উৎসাহি ভুমিকায় ফখরুল

0
5

রিদওয়ান আহমেদ: আবারও মানবতার পরিচয় দিলেন নেস্ট এর রক্তদাতা মো: ফখরুল ইসলাম (২৫)।গত ২৩ অক্টোবর থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত একজন রোগীকে স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে তার জীবন বাচাতে অগ্রনী ভুমিকা রাখলেন তিনি। যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রক্তদানে বেশির ভাগ মানুষই নিরউৎসাহি ভুমিকা দেখায়, সেখানে নিতান্তই রক্তদানে অতি উৎসাহি ভুমিকায় আর্বিভাব হচ্ছেন ফখরুল।
মো: ফখরুল ইসলাম এ নিয়ে মোট ৮ বার অন্যের জীবন বাচাতে রক্ত দিয়েছেন। আমরা নেস্ট পরিবার ফখরুল ইসলাম সহ আমাদের সকল রক্তদাতাদের উদারতায় গর্বিত। আমরা তাদের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করছি।
আমাদের রক্তদাতারা কখনো কোন রোগী বা রোগীর পরিবারের কোন সদস্য থেকে রক্তদানের বিনিময়ে কোন প্রকার টাকা-পয়সা গ্রহন করেন না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে শুধু দোয়াটাই চেয়ে থাকেন।
চাইলে আপনি হতে পারেন নেস্ট পরিবারের একজন সদস্য। হতে পারেন ফখরুল ইসলামের মতো মানব সেবার অভয় যোদ্ধা।

থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) রক্তের একটি রোগ যা সাধারনত বংশগতভাবে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতি কম থাকে। থ্যালাসেমিয়া মৃদু এবং তীব্র দুরকমের হতে পারে। এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে, ভালভাবে চিকিৎসা না করলে এটি শিশুর মৃত্যুর কারণও হতে পারে। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেনস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগে ভুগে থাকেন। মৃদু থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে, অনেক সময় চিকিৎসার তেমন প্রয়োজন হয় না। অপরদিকে তীব্র থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগীকে নিয়মিত রক্ত দিতে হয়।

থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ। সাধারনত ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিনের কারণে থ্যালাসেমিয়া হয়। বাবা এবং মা উভয়ের অথবা বাবা অথবা মা যেকোনো একজনের থ্যালাসেমিয়া জীন থাকলে, এটি সন্তানের মধ্যে ছড়াতে পারে। বাবা এবং মা উভয়ের থ্যালাসেমিয়া জীন থাকলে, সেক্ষেত্রে শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ২৫ ভাগ।