
হিম হিম ঠান্ডা বাতাস শুরু হয়েছে। আসছে শীতের প্রকোপ। আর কিছুদিন বাদে রাজধানীসহ সারাদেশে শীত প্রকট আকারে শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর যদি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় তবে সাধারণ দুঃখী মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে উঠবে।
যেখানে রাজপথের এই সকল অসহায় মানুষদের এক বেলা খাবার এর-ই ঠিক নেই তারা কিভাবে শীত বস্ত্র পরিধান করবে বর্তমানের এই সময়ে? তারা রাত কাটায় পথে-প্রান্তরে, তাদের শিশুদের নিজেদের বুকের ভিতর নিয়ে শীতের রাত্রি পাড়ি দেয়। বৃদ্ধরা ধুঁকে ধুঁকে পাঞ্জা লড়ে নির্মম প্রকৃতির সাথে। যেখানে বিলাসিতার কবলে পরে কিছু লোক লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে নিজেদের স্বাধ মেটাতে, সেখানে সমাজের একদল মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকারটুকু পাচ্ছে না।
দরিদ্র দেশ হওয়ার কারনে প্রতি বছর কত শত মানুষ শীতের কারনে নির্দয় মৃত্যুবরণ করছে। এদের জন্য কি আমাদের কিছুই করার নেই? আমরা কি পারি না নিজেদের পকেট খরচ কিছুটা বাঁচিয়ে তাদের সাহায্য করতে? বেশি মানুষকে হয়তো সাহায্য করা সম্ভব না, কিন্তু কয়েকজনকে তো সাহায্য করতে পারি? হ্যাঁ, আমরাও পারি, প্রয়োজন শুধু নিজেদের ভিতরের ঘুমন্ত মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলার। এখন না এগোলে আর কখন?
প্রতিদিনই তো কত টাকাই দরকার ছাড়া খরচ করি। অন্তত এই শীতে চলেন শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র দেয়ার ব্যাবস্থা করি। সকলের মিলিত সাহায্যই পারে তাদেরকে এই নির্মম শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে।
বিগত বছর গুলোর ন্যায় এবারও রাজধানী ঢাকার অলি-গলি, ফুটপাতের খোলা আকাশের নীচে থাকা সহায়-সম্বল হীন শীর্তাত গরীব, অসহায়, দু:স্থ, পথশিশুদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নেস্ট’।
দু:স্থ মানবতার সেবা ইসলামের অপরিহার্য বিধান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ‘নেস্ট’ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সামর্থ্যানুযায়ী অসহায় দু:স্থদের সাহায্যে পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রচন্ড শীতে কাঁপছে দেশ, আসছে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ। তাই মানবিক ও ঈমানী দায়িত্বেই সহায় সম্বলহীন শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের একান্ত কর্তব্য। দেশের এই শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আপনার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইসলাম ধর্মে দান বা সদকার গুরুত্ব অপরিসীম। দান করার জন্য ধনী হওয়ার প্রয়োজন নেই, সুন্দর ইচ্ছাই যথেষ্ট।
দানের ফজিলত সম্পার্কে পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। যেমন- আল্লাহ তায়ালা ফরমান- যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্য তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার (সূরা বাকারাহ- ২৬২)
আলাল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, শয়তান তোমাদের অভাব-অনটনের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়, আর আল্লাহ তায়ালা দান করার বিনিময়ে ক্ষমা করা ও সম্পদ বৃদ্ধি করার ওয়াদা করেন। বস্তুত আল্লাহপাক সমৃদ্ধশালী, সর্বজ্ঞানী। (সূরা বাকারাহ- ২৬৮)
রাসূল (সা:) বলেছেন, নিশ্চয়ই দান-সদকা কবরের আজাব বন্ধ করে দেয়। আর কেয়ামতের দিন বান্দাকে আরশের ছায়ার নিচে জায়গা করে দেয়। (তাবরানি ও বায়হাকি)
অপর হাদিসে আছে যে, দান সম্পদ কমায় না, দান দ্বারা আল্লাহপাক বান্দার সম্মান বৃদ্ধি ছাড়া কমায় না। কেউ আল্লাহর ওয়াস্তে বিনয় প্রকাশ করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে বড় করেন। (মুসলিম)
আসেন সাহায্যের হাত প্রসারিত করে এই শীতে শীতার্তদের পাশে দাড়াই। হাসি ফুটাই আমাদেরই ভাই-বোনদের মুখে।
তহবিল সংগ্রহ চলছে, চাইলে আপনিও শরীক হতে পারেন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন – ০১৭১৭-১৮১৬৭২