Home Blog Page 5

প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর এর মৃত্যুতে নেস্ট’র শোক প্রকাশ

0

না ফেরার দেশে চলে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাংলাদেশের প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন আটবারের চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত এই প্লেব্যাক সম্রাট।
প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর এর মৃত্যুতে আমরা নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

টানা নয় মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থেকে গত ১১ জুন একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছিলেন এন্ড্রু কিশোর। তারপর থেকে রাজশাহীতে বসবাস করছিলেন তিনি। জন্মস্থান রাজশাহীতেই গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।

এর আগে অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন এই নন্দিত গায়ক। সেখানে গিয়ে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে ছিলেন তিনি। চলে টানা কয়েকমাসের কেমোথেরাপি।

এন্ড্রু বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। তার চিরসবুজ কণ্ঠ অসংখ্য জনপ্রিয় রোমান্টিক গান উপহার দিয়েছে।

এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে। সেখানে তিনি ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানে কণ্ঠ দেন। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধাড়াক্কা’। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রতিজ্ঞা’ চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গাওয়া গান প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করে।

তার জনপ্রিয় গানগুলোর তালিকায় আছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’ ইত্যাদি।

দেশ-বিদেশে সুনামের পাশাপাশি তিনি সম্মানও পেয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন।

আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী’র মৃত্যুতে নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত

0

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহরে অবস্থিত জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস শেরে মিল্লাত মুফতি আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী (৭৭) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
গতকাল সোমবার (৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করার পর তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমীর মৃত্যুতে আমরা নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ যেন হুজুরকে জান্নাতের উচ্চ মকাম দান করেন, আমিন।নঈমী হুজুর দেশব্যাপী ইসলামের মূলধারার প্রচার প্রসারে ও দীনি শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যুতে সুন্নি জনতা একজন সর্বোচ্চ অভিভাবককে হারিয়েছেন। সুন্নি অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়।

জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীনের মৃত্যুতে সুন্নি মুসলিম জনতার মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমী দীর্ঘদিন ধরে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়ার প্রধান মুহাদ্দিসের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তিনি শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাপাতলী গ্রামে।

জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, ‘নঈমী হুজুর কয়েকদিন আগে নগরের ষোলশহর শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসায় ওযু করার সময় পানির কলে হাতে ব্যাথা পান। এরপর তিনি অসুস্থ হন।

তিনি আরও বলেন, গতকাল সোমবার আসরের নামাজের প্রস্তুতিকালে অসুস্থতা বেড়ে গিয়ে বার্ধক্যজনিত কারণে হুজুরের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। আল্লামা নঈমীর ইন্তেকালে চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।

আজ মঙ্গলবার বাদ যোহর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে জামেয়া সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় নেস্ট‌’র শোক

0

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবিতে হতাহতের ঘটনায় নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ ভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে করোনাসহ সকল প্রকার বিপদ-আপদ থেকে হেফাযত করার প্রার্থনা করছি। আমরা এমন দুর্ঘটনার পূনরাবৃত্ত দেখতে চাই না।

সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে শ্যামবাজার পয়েন্টে ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় সেটি।
কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
তবে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও অন্যরা তলিয়ে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিআইড‌ব্লিউ‌টিএর যুগ্ম প‌রিচালক (বন্দর) একেএম আরিফ উদ্দিন ব‌লেন, সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটে বা‌র্দিং করার আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চটিতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন ব‌লে জানান তি‌নি।

নেস্ট এর পক্ষ থেকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা

0

পৃথিবীর সকল বাবাদের সাথে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের বাবাকেও নেক হায়াতসহ সুস্থ জীবন দান করেন এবং করোনাসহ সকল প্রকার বালা মছিবত থেকে রক্ষা করেন, আমিন।

বিশ্ব বাবা দিবসে নেস্ট পরিবার এর পক্ষ থেকে পৃথিবীর সকল বাবাকে জানাই আন্তরিক ভালবাসা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পরম সুখে জীবন অতিবাহিত হোক তাদের।

একদিন নয়, বাবাদের প্রতি ভালবাস জানাতে বছরের প্রতিটা দিনই হোক বাবা দিবস, এটাই আমাদের আহ্বান।

জুন মাসের তৃতীয় রোববার, বিশ্ব বাবা দিবস। সে হিসেবে রোববার (২১ জুন) বিশ্বের প্রায় ৭৪টি দেশে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ জুলাই এই দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন।

১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্যাটেলাইট যুগের সুবাদে বাবা দিবস ঘটা করেই পালিত হচ্ছে।

অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হলে তা ‘ফৌজদারি অপরাধ’: হাইকোর্ট

0

কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে আসা গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা দেখালে এবং এতে করে ওই রোগীর মৃত্যু হলে তা অবহেলাজনিত মৃত্যু হিসেবে বিবেচিত অর্থাৎ ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। একইসঙ্গে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

করোনাকালে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া, অবহেলায় মৃত্যু, আইসিইউ বণ্টন, বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ, অক্সিজেন সরবরাহ ও ঢাকা সিটি লকডাউন নিয়ে ১১টি নির্দেশনা ও অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাঁচটি রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৫ জুন) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল আদালতে শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন।

একইসঙ্গে গত ১১ই মে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আসা রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

সার্বিক বিবেচনায় আদালতের নির্দেশনা ও অভিমত:
এক. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জারি করা নির্দেশনা (সরকারি/বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের ফিরিয়ে না দেওয়া সংক্রান্ত) যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ জুনের আগে আদালতে দাখিলের জন্য সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

দুই. নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করতে হবে।

তিন. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২৪ মে জারি করা নির্দেশনা অনুসারে ওই তারিখের পর ৫০ শয্যর অধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১৫ জুন পর্যন্ত কতজন কোভিড এবং নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসার দেওয়া হয়েছে সে সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ৩০ জুনের আগে জমা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে ৫০ শয্যার অধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের একটি তালিকা পাঠাতে হবে।

চার. বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কিনা সে বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিন পরপর একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। ওইসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৫ দিন পরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

পাঁচ. বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের, বিশেষত ঢাকা মহানগর ও জেলা, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলাসহ বিভাগীয় শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক যাতে কোভিড এবং নন-কোভিড রোগীকে পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেয় সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

ছয়. কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে অনিহা দেখালে এবং এতে ওই রোগীর মৃত্যু ঘটলে ‘তা অবহেলাজনিত মৃত্যু’ হিসেবে বিবেচিত অর্থাৎ ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হবে। দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার  নির্দেশনা যথাযথভাবে দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

সাত. কেন্দ্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অধিকতর জবাবদিহিমূলক ও বিস্তৃত করতে হবে। ভুক্তভোগীরা যাতে এ সেবা দ্রুত ও সহজভাবে পেতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। কোন হাসপাতালে আইসিইউতে কতজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং কতটি আইসিইউ শয্যা কী অবস্থায় আছে তার আপডেট প্রতিদিনের প্রচারিত স্বাস্থ্য বুলেটিন এবং অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। আইসিইউ ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং সেলে ভুক্তভোগীরা যাতে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য আলাদাভাবে ‘আইসিইউ হটলাইন’ নামে হটলাইন চালু এবং হটলাইন নম্বরগুলো প্রতিদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশেষত টেলিভিশন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

আট. আইসিইউ-এ চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মাত্রাতিরিক্ত বা অযৌক্তিক ফি আদায় না করতে পারে সে বিষয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

নয়. অক্সিজেন সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য এবং রিফিলিংয়ের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতাদের সিলিন্ডারের নির্ধারিত মূল্য প্রতিষ্ঠান/দোকানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃত্রিম সংকট রোধে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও রোগীর পরিচয়পত্র ব্যতীত অক্সিজেন সিলিন্ডারের খুচরা বিক্রি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারে। অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও বিক্রয় ব্যবস্থা মনিটরিং জোরদার করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

দশ. সরকার ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে বিভক্ত করে পর্যায়ক্রমে লকডাউনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় বর্তমান পর্যায়ে লকডাউনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেওয়া সঙ্গত হবে না মর্মে আদালত মনে করে।

এগারো. দেশে বিদ্যমান সামগ্রিক পরিস্থিতি অর্থাৎ বর্তমানে দেশে বিরাজমান করোনা পরিস্থিতি একটি ‘দুর্যোগ’ বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত কার্যক্রমের পাশাপাশি সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-২০১২ এর ধারা-১৪ অনুসারে ‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অরডিনেশন গ্রুপ’ এর কার্যক্রমকে সক্রিয় করার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারে। ওই কমিটি কার্যকর হলে ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে উপরোক্ত আইনের ধারা-২৬ অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক রিকুইজিশন করা যেতে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ, স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এসব আদেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব রিট আবেদনের পর এসব আদেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো:

রিট-১
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-২০১২ এর ধারা ২৫ ও ২৬ এর বিধান মতে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ রিকুইজিশন ও ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ স্থাপনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে রোগীদের জরুরি সেবা ও শয্যা সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা প্রার্থনা করে রিট করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

রিট-২,৩,৪
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ জারি করা ১১ মে’র দু’টি স্মারকের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্পর্কিত এবং ২৪ মে জারি করা স্মারক যাতে ৫০ শয্যা ও তদূর্ধ্ব শয্যা বিশিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড এবং নন-কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা চিকিৎসা ব্যবস্থা চালুর নির্দেশনা বাস্তবায়িত না করার নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ এবং ওই জারি করা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রার্থনা করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, আইনুন্নাহার সিদ্দিকা এবং জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।

রিট-৫
রাজধানী ঢাকায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা এবং লকডাউন করা এলাকার জনগণকে সব ধরনের লজেস্টিক সাপোর্ট ও করোনা আক্রান্ত রোগীদের ‘হাই প্রোনেজাল ক্যানোলা’ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রার্থনাকরে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহবুবুল ইসলাম।

সংবাদ- বাংলা নিউজ

কাল থেকেই লকডাউনে ঢাকার ৪৫ এলাকা

0

ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকাকে রেড জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির গত শনিবারের সভায় এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়। এদিকে এসব এলাকায় ১৫ তারিখ থেকে লকডাউন ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মোট ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা আছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। সিটি করপোরেশনের বাইরে তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের সবক’টি উপজেলাকে রেড জোনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর এবং পুরো সিটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব ডা. জহিরুল করিম বলেন, গত ১১ জুন কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার ভেতরে ৬০ জন রোগীর থাকার ভিত্তিতে এই রেড জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। এটা কেবল ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য প্রযোজ্য। বাকি জেলাগুলোতে ১৪ দিনের ভেতরে ১ লাখ জনসংখ্যার ১০ জন থাকলে সেটাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকা:
উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো- মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, উত্তরা, রায়েরবাজার ও বসুন্ধরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকা:
দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, বাসাবো, শান্তিনগর, পরীবাগ, পল্টন, আজিমপুর, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলী, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটির ১০টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। এগুলো হলো, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

রেড জোনের ঘোষণা আসার আগেই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সরকার মূলত জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার কৌশল গ্রহণ করেছে। সেই কৌশলে রেড জোন চিহ্নিত এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে এবং সাধারণ ছুটিও থাকবে সেখানে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শহরের কোনো এলাকায় রেড জোন ঘোষণা হলে সেখান থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। সব কাজ (ফ্যাক্টরি, অফিস) ঘরে বসেই করতে হবে। তবে গ্রাম এলাকায় কৃষি কাজ করতে বাধা নেই। অসুস্থ হলেই শুধু হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে।

জরুরি প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার ব্যবস্থা থাকবে তবে সাইকেলসহ কোনো ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। এমনকি নৌ, রেল বা সড়ক যোগাযোগও বন্ধ থাকবে। শহরাঞ্চলে মুদি ও ওষুধের হোম ডেলিভারি দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। গ্রামে নির্দিষ্ট সময় ধরে দোকান খোলা থাকবে। গ্রামে কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও শহরে সেটি থাকবে না।

ইয়েলো জোনের ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ লোকবল নিয়ে অফিস বা ফ্যাক্টরি চালানো যাবে। তবে জনাকীর্ণ ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে হবে। জরুরি চলাচলের ক্ষেত্রে একজন যাত্রী নিয়ে রিকশা, ভ্যান বা সিএনজি, ট্যাক্সি চলবে। নিজে অথবা আবাসিক ড্রাইভার থাকলে ব্যক্তিগত গাড়ি চালানো যাবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুতে নেস্ট’র শোক প্রকাশ

0

পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। গতকাল শনিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুতে আমরা নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন জানান, শনিবার রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন শেখ আব্দুল্লাহ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয় এবং সেখানে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে ১১টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। আজ পিসিআর টেস্টে তার করোনা ধরা পড়ে। তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন।

শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের কেকানিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় শিক্ষা জীবন শুরু করেন। এরপর সুলতানশাহী কেকানিয়া প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। ১৯৬১ সালে একই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৬৬ সালে বিকম (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এম.কম. এবং ১৯৭৪ সালে অর্থনীতি বিষয়ে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

আবদুল্লাহ কর্মজীবনের শুরুতে সুলতানশাহী কেকানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে গোপালগঞ্জ ও ঢাকা জজকোর্টে ওকালতি পেশায় জরিত হন। প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য ও পরে ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন।

শেখ মো. আব্দুল্লাহ ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে লেখাপড়া করার সময় কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নেন এবং সে সময় যুবলীগে যোগদান করে গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর তিনি গোপালগঞ্জ জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনার সবকটি সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা ও কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করেন।

তিনি গত কয়েক মেয়াদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শেখ মো. আব্দুল্লাহ এ আসনে শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক দলসমূহের সম্পর্কন্নোয়ন এবং কওমি মাদরাসার সনদ স্বীকৃতির পেছনে ভূমিকা পালন করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে নেস্ট’র শোক প্রকাশ

0

টানা আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চির বিদায় নিলেন জাতীয় নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর পুত্র, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি।
আজ শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে আমরা নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

গত ১ জুন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মোহাম্মদ নাসিমের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লেও তা থেকে সেরে উঠেছিলেন তিনি। তবে করোনার চিকিৎসা নেওয়ার মাঝেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন নাসিম। পরে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়।

করোনা থেকে সেরে উঠলেও মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ডিপ কোমায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ডিপ কোমায় থাকা অবস্থাতেই চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

মোহাম্মদ নাসিম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় অন্য তিন নেতার সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর কারাগারে থাকা অবস্থায় শহীদ হন।

মোহাম্মদ নাসিমের মায়ের নাম আমেনা মনসুর। তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

ছাত্রজীবনের প্রথম দিকে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। পরে অল্প কিছু দিন ছাত্রলীগের রাজনীতিও করেন। ছাত্ররাজনীতি ছাড়ার পরে যুবলীগের রাজনীতি করলেও ১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ নাসিম। ওই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এরপর ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিমকে দলের একমাত্র সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়।

২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এরপর টানা তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন।
মোহাম্মদ নাসিম ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ১/১১ সরকারের দেওয়া মামলার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেননি নাসিম। ওই নির্বাচনে তার সন্তান তানভীর শাকিল জয়কে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিমকে আবার মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিমের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ। মোহাম্মদ নাসিমের বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয় সংসদ সদস্য ছিলেন।

মোহাম্মদ নাসিমকে আগামীকাল রবিবার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী’র মৃত্যুতে নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত

0

ইমামে আহলে সুন্নাত খ্যাত পীরে কামেল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, ওস্তাজুল ওলামা, ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী (৯৩) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)
আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আলেমকুলের এ শিরোমণি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও উপমহাদেশে অতুলনীয় ইমামের মৃত্যুতে আমরা নেস্ট পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত।
আমরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ যেন হুজুরকে জান্নাতের উচ্চ মকাম দান করেন, আমিন।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন জানান, গত ৩০ মে আল্লামা হাশেমী হুজুরকে ভর্তি করানো হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগসহ হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। আইসিইউ সাপোর্টও দিয়েছিলাম আমরা। মঙ্গলবার (২ জুন) ভোরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

কাজী আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমীর বাড়ি চট্রগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বটতলা এলাকায়।

ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমীর নামাজে জানাজা রাত ৯টায় নগরের জালালাবাদ (অক্সিজেন মোড়ের উত্তরে) দরবারে হাশেমীয়া আলিয়া শরিফে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

নেস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা ‘ঈদ মোবারক’

0

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী
সেই গরিব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোরে মারল’ ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।

নেস্ট পরিবার এর পক্ষ থেকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে জানাই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ‘ঈদ মোবারক’।

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে উৎসবের আমেজে আজ সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে ইসলাম ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিয়েছে পুরো দেশ। রমজানের শেষে এই ঈদ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে; সারা বিশ্বের মুসলমান এটি পালন করেন একটি খুশির উৎসব হিসেবে। কিন্তু এ বছর যখন এই উৎসব এসেছে, তখন সারা পৃথিবী কোভিড–১৯ মহামারি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।

আমরা নেস্ট পরিবার দয়াময়, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর দরবারে এই প্রার্থনা জানাচ্ছি যে, হে আল্লাহ‌‌, তুমি আমাদের এই ঈদের উসিলাতে আমাদেরসহ আমাদের দেশকে শত্রুর শত্রুতা, প্রাকৃতিক দুযোর্গ, করোনাসহ সকল প্রকার বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করুন। বিশ্ব হউক করোনা মুক্ত। আমরা আপনারই করুণা ভিক্ষা প্রার্থনা করছি। আমাদের মনের নেক আশাগুলো পুরণ করুন, আমিন।